অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অনন্য নিদর্শন সুনামগন্জ



হাওরের শহরের প্রতি ভালোবাসা জন্মায় সেই ১৯৬৭ সাল থেকে

সুনামগঞ্জ এ পর্যন্ত শতবার গিয়েছি
দেখেছি কত নয়নলোভা সৌন্দর্য
মনে দোলা জাগায় আজও -
নীলাদ্রি লেক,
লালঘাট ঝর্ণাধারা,
নারায়ণতলা ডালুরা শহীদদের কবর, টাঙ্গুয়ার হাওর, শহীদ মিনার, শিব টিলা, ইংলিশ টিলা,
শিখা সতেরো,
সীমান্তহাট, খ্রিস্টানদের মিশন,
জুবিলী স্কুল ,
সীমান্তঘেষা পাহাড় - অরণ্য, নদী, ছাতক সিমেন্ট ফ্যাক্টরী, মরমী কবি হাসনরাজার মিউজিয়াম,
টেংরাটিলা গ্যাস ফিল্ড,
জগন্নাথপুরে রাধারমণের কিছু স্মৃতি,
সীমান্তের পাহাড়ী মেঘ,
বারেক টিলা, যাদুকাটা নদী,
লাউর রাজ্যের ধ্বংসাবশেষ পনাতীর্থ -
আরও কত কি।




সুনামগঞ্জ গিয়ে বার বার মনে হয়েছে -
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ সাজে সেজে আমার কাছে ধরা দেয় বধূ বেশে -
আহা অপরূপা সুনামগঞ্জ হয়ে
গিয়েছি কত জনপদে -
মনে পড়ে
শিমুল ফুলের বাগানের কথা -
ওদিকে মেঘালয় রাজ্য ও যাদুকাটা নদী
আর
এপারে শিমুল বাগান - কত শিমুল ফুলের ছড়াছড়ি
হঠাৎ সেখানে
এলো শিমুল ও পলাশ - ওরা যথাক্রমে আমার বুকে বুক রেখে দিয়ে গেল
মোর মন রাঙিয়ে -
সুনামগঞ্জের সুজনকে নিয়ে
গিয়েছিলাম জামালগঞ্জের জামালের বাড়িতে - সেখানে একরাত কাটিয়ে ধর্মপাশায় ধর্মটর্ম পালন করে
এলাম তাহিরপুরের তাহিরের বাড়িতে।
শুনি গিয়ে, সে থাকে সৌদিতে।
হঠাৎ করে পথে দেখা হলো
জগন্নাথপুরের জগন্নাথ দাদার সঙ্গে, তিনি নিয়ে গেলেন দোয়ারাবাজার, শাল্লা, দিরাই, বিশ্বম্ভরপুর, ছাতক সহ আরও কত জনপদে।




খুব করে মনে পড়ে - ছৈলা আফজালবাদ, নোয়ারাই, কালারুকা, গোবিন্দগঞ্জ, সুরমা, চরমহল্লা, ইসলামপুর, জাউয়া বাজার, সিংচাপইড়, দোলার বাজার, ভাতগাও,
মান্নারগাঁও, পান্ডারগাঁও, দোহালিয়া, বোগলাবাজার, সলুকাবাদ, ধনপুর, পলাশ, বাদাঘাট, ফতেপুর, কলকলিকা, পাটলী, মীরপুর, চিলাউরা হলদিপুর, রাণীগঞ্জ, সৈয়দপুর শাহারপাড়া, আশারকান্দি, পাইলগাঁও আফতাবনগর, মোল্লাপাড়া, রঙ্গারচর, জাহাঙ্গীরনগর, গৌরারং, মোহনপুর, কাঠইর, লক্ষ্মণশ্রী, লক্ষ্মীপুর, বাংলাবাজার, নরসিংপুর, তাড়ল, কুলঞ্জ, আটগাঁও, হবিবপুর, বাহাড়া, জয়কলস, শিমুলবাগ, পাথারিয়া, বীরগাঁও, পাগলা, দরগাপাশা রফিনগর, ভাটিপাড়া, রাজানগর, চরনারচর, সরমঙ্গল, করিমপুর, জগদল, বালিজুরী, বড়দল, শ্রীপুর, রাজাপুর, সুখাইর, জয়শ্রী, পাইকুরাটি, সেলবরষ, বংশীকুন্ডা, চামারদানী, মধ্যনগর, বেহেলী, সাচনা, ভীমখালী, ফেনারবাক এবং আরও কত কি স্থানের কথা।
কিন্তু বংশীকুন্ডে গিয়ে শুনি বংশী চন্দ্র বাবু পরিবার পরিজন নিয়ে চিরতরে চলে গেছে শিলচরে।
তেমনি চলে গেছে জয়শ্রীর জয়শ্রী দেবী ; শ্রীপুরের শ্রী সুখ বাবু ; রাজাপুরের রাজা বাবু ; জয়কলসের জয়দেব বাবু ; রাণীগঞ্জের রাণীবালা ; গৌরারংয়ের গৌর বাবু ; মোহনপুরের মোহন বাবু ; লক্ষ্মণশ্রীর লক্ষ্মণ বাবু ; লক্ষ্মীপুরের শ্রীমতী লক্ষ্মী দেবী - এবং আরও অনেকে
গৌহাটি, ডিব্রুগড়, করিমগঞ্জ, তেজপুরে।
তবে পান্ডারগাঁওতে দেখি নাই কোনো পান্ডা টান্ডা।
মজার ব্যাপার, ধনপুরের ধনপতি ধনসম্পদ নিয়ে চলে গেছে দূর পরদেশে।
ফতেপুরের ফতে খান ; মান্নারগাঁওয়ের মান্না ; ইসলামপুরের ইসলামউদ্দিন ; করিমপুরের করিম ;
হবিবপুরের হবিব সহ অনেকে পেটের দায়ে ইটালি সহ কত না দেশে কাজকর্ম করে জীবিকা নির্বাহ করছে।
কেউ মদের দোকানে টেবিলে টেবিলে মদ দেয় - কেউবা রেষ্টুরেন্টে কাটাকাটি করে পিঁয়াজ -
দেশে নাই চাকরি বাকরি - তাই বিদেশে গিয়ে যে যাই করুক তাতে কি। আয় করছে, পরিবার পরিজনকে দিচ্ছে সুখ।
তাই তো বলি ঃ
আমার
ভা লো বা সা
সু না ম গ ঞ্জ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ