আমার ভা লো বা সা চাঁ পা ই ন বা ব গ ঞ্জ




দর্শনীয় স্থান আমের মোহে পড়ে
বার বার ছুটে গিয়েছি চাঁপাইনবাবগঞ্জে।
দুই নয়ন মেলে দেখেছি -
ছোট সোনা মসজিদ, তোহাখানা,
শাহ নেয়ামতুল্লার মাজার, চামচিকা মসজিদ, দারাসবাড়ি মসজিদ,
ধানিয়াচক মসজিদ, স্বপ্নপল্লী, নাচোল রাজবাড়ী,
বাবুডাইং, রহনপুর নওদা বুরুজ,
নীলকুঠি, গোয়াইন বাধ, মহানন্দা নদী,
শুড়লার তেঁতুল গাছ,
কানসাট জমিদার বাড়ী।

বাংলাদেশের উত্তর - পশ্চিমাঞ্চলের জেলা শহর চাঁপাইনবাবগঞ্জ নবাবের মিষ্টি ও দইয়ের জন্য বিখ্যাত।
১৯৪৭ সালের দেশভাগের আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ছিল মালদহ জেলার অন্তর্ভুক্ত।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি কলেজটি এখানের অন্যতম প্রধান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ দেখতে গিয়ে বহু জনপদে পা রেখেছি।
খুব করে মনে পড়ে -
বালিয়াডাঙ্গা, গোবরাতলা, ঝিলিম, বারঘরিয়া, মহারাজপুর, রানীহাটি, চরঅনুপনগর, আলাতুলি,
শাহজাহানপুর, ইসলামপুর, চরবাগডাঙ্গা, নারায়ণপুর, সুন্দরপুর, শাহবাজপুর, দাইপুকুরিয়া, মোবারকপুর, কানসাট, শ্যামপুর, চককীর্তিন, বিনোদপুর, মনাকষা, দুর্লভপুর, উজিরপুর, পাঁকা, ছত্রাজিতপুর, নয়ালাভাঙ্গা, ঘোড়াপাখিয়া, ধাইনগর, গোমস্তাপুর, বাংগাবাড়ী, রাধানগর, পার্বতীপুর, রহনপুর, বোয়ালিয়া, চৌডালা, আলীনগর, কসবা, ফতেপুর, নাচোল, নেজামপুর,
জামবাড়িয়া, ভোলাহাট, দলদলী, গোয়ালবাড়ী সহ বহু স্থানের কথা।

তবে দুঃখ আমার,
অনেক খুঁজেও দেখা পাইনি
রাধানগরের রাধা দেবীর ; পার্বতীপুরের পার্বতীর ; দুর্লভপুরের দুর্লভ বাবুর ; শ্যামপুরের শ্যাম বাবুর ;
বিনোদপুরের বিনোদ বাবুর ; মনাকষার শ্রী মনা বাবুর ;
সুন্দরপুরের শ্রীমতী সুন্দরীর ; রানীহাটির শ্রীমতী রানীর ; দেবীনগরের দেবীদের ; চরঅনুপনগরের অনুপ জালোটার ; মহারাজপুরের শ্রী মহারাজের -
কোথায় গেলেন তাঁরা?




এক ব্যক্তির কাছে জানতে চাইলে তিনি বললেন,
রহন খান , উজির খান , মোবারক খান , আলী খান,
নেজাম খান,
ফতে খানদের অত্যাচারে তারা দেশত্যাগে বাধ্য হয়েছেন।
ঘোড়াপাখিয়ায় গিয়ে ঘোড়া দেখি নাই, দেখি নাই কোনো পাখিটাখি - কারণ হিসেবে একব্যক্তি জানালেন,
এয়ারগান ও গুলতিবাজদের কারণে পাখিরা চিরতরে হারিয়ে গেছে।
জামবাড়িয়ায় অনেক ঘুরেও একটা জাম গাছ দেখতে পাইনি।
দলাদলীতে গিয়ে দেখি
ওখানকার লোকজন করে শুধু দলাদলী। কে কাকে বাঁশ দেবে এই ধান্ধায় ব্যস্ত, করে তাই দলাদলী।

-লিয়াকত হোসেন খোকন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ