ত্রিপুরা মনে রঙ লাগায়


উত্তর-পূর্ব ভারতের এক কোণে অবস্থিত ত্রিপুরা রাজ্য। আমাদের বাংলাদেশের কুমিল্লা বিভাগের পাশেই ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য।


আয়তনের দিক দিয়ে ছোট্ট হলেও এখানে দর্শনীয় স্থানের সংখ্যা মোটেই কম নয়। ত্রিপুরা বেড়াতে গিয়ে যে রংটি সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে তা হলো সবুজ।

শুধু সবুজ রঙের কত রকম ‘শেড’ হতে পারে তা চাক্ষুষ করতে হলে ত্রিপুরাতে একবার যেতেই হবে। ১৯৭২ সালে প্রথম এবং এরপরে আরও চারবার ত্রিপুরায় গিয়েছিলাম। তখন ছিল আমার যৌবনকাল । ৬৭ বয়সে এসে সেই বেড়ানোর কাহিনী আজও মনে রঙ ছড়িয়ে দেয়।।

আগরতলা , কৈলাশহর , উদয়পুর , অমরপুর ,সেরমন ,আম্বাসা , কুমারঘাট , ধর্মনগর - আরও কত কি জায়গা। শুধুই মনে পড়ে ত্রিপুরার কথা । আর তখন গলা ছেড়ে গাইতে মন চায় ঃ
" জনগণমন - অধিনায়ক জয় হে ভারতভাগ্যবিধাতা ।।

পাঞ্জাব সিন্ধু গুজরাট মারাঠা দ্রাবিড় উৎকল বঙ্গ ত্রিপুরা বিন্ধ্য হিমাচল কাশ্মীর যমুনা গঙ্গা উচ্ছলজলধিতরঙ্গ
তব শুভ নামে জাগে , তব শুভ আশিস মাগে ,
গাহে তব জয়গাথা ।। "

ভাবলে অবাক লাগে যে মাত্র ১০,৪৯২ বর্গকিলোমিটার আয়তনবিশিষ্ট এক ভূখন্ডের প্রকৃতিকে কত রূপেই না দেখা যায়।
ত্রিপুরায় রয়েছে বিভিন্ন বন্য প্রাণী-অধ্যুষিত গভীর অরণ্য, টিলা, পাহাড়, ঝরনা, সরোবর।
চা, রবার, কমলালেবু, আনারসের বাগান এবং বিস্তৃত কৃষিজমি।




এছাড়া পর্যটকদের আকর্ষণ করার জন্য ত্রিপুরায় রয়েছে ঃ অভিনব নীরমহল প্রাসাদ, মাতাবাড়ির বিখ্যাত সতীপীঠ, ঊনকোটির অতুলনীয় ভাস্কর্য, চিরবসন্তের দেশ জম্পুই, পিলাকের সুপ্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন এবং বিভিন্ন উপজাতীয় জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

কলকাতার দিক থেকে ত্রিপুরার রাজধানী শহর আগরতলা যাওয়ার জন্য আকাশপথই সুবিধেজনক। সময় লাগবে মাত্র পঞ্চাশ মিনিট। আগরতলা যাওয়ার অন্য উপায়টি বেশ সময়সাপেক্ষ এবং ক্লেশদায়ক। এক্ষেত্রে রেলপথে গুয়াহাটি গিয়ে আগরতলাগামী বাসে উঠতে হবে। গুয়াহাটি থেকে সড়কপথে আগরতলার দূরত্ব ৫৯৭ কিলোমিটার।

এখন তো কলকাতা থেকে বাংলাদেশ হয়ে বাস চলাচল করায় সড়ক পথে যাতায়াত ব্যবস্থা অনেকটা সহজ হয়ে গেছে।

-লিয়াকত হোসেন খোকন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ