প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর বৈচিত্র্যের লীলাভূমি নাইক্ষংছড়ি

 


বান্দরবান জেলার নাইক্ষংছড়ি উপজেলার দর্শনীয় স্থান হ'ল - উপবন পর্যটক লেক ; গয়াল প্রজনন ও গবেষণা কেন্দ্র ; সোনাইছড়ি ইউনিয়নের জারুলিয়াছড়ির চাকমাঘোনা এলাকার সোসং ঝর্ণা ও কোয়াসং ঝর্ণা ; চাকঢালা বাঘমারার নতুনপাড়া এলাকায় সোনালী ঝর্ণা ; চা বাগান ইত্যাদি।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর বৈচিত্র্যের লীলাভূমি নাইক্ষংছড়ি - এখানের উঁচুনিচু পথ, পাহাড়ের শরীর জুড়ে ঘন সবুজের সমারোহ যেন এঁকেবেঁকে চলে গেছে গভীর থেকে গভীরে। নাইক্ষংছড়ির রূপের যেন সীমাপরিসীমা নেই। প্রকৃতি তার আপন খেয়ালে এখানে মেলে ধরেছে তার সৌন্দর্যের মায়াজাল।

নাইক্ষংছড়ির উপবন পর্যটন লেকটি উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। এটি ইকো ট্যুর ও পিকনিক স্পট হিসেবেও পরিচিত। সবুজ আর নীলের মাঝে লেকের বুক চিরে দাঁড়িয়ে আছে ঝুলন্ত ব্রিজ।
পর্যটক লেকের পাশেই একটি ছোট্ট উপজাতীয় পল্লী রয়েছে।

রাতের বেলা কি যেন রূপময়তায় রূপমহল হয়ে ওঠে নাইক্ষংছড়ির জনপদ - মনে হবে কারা যেন পাহাড়ে - পাহাড়ে মাদল বাজায়। সেই মোহে আচ্ছন্ন হয়ে পড়তে হয় - নাইক্ষংছড়ি যেন এক মনভোলানো জনপদ।
একদা এই জনপদে প্রথম বসতি স্থাপন করেছিল মার্মা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষ। এরা স্থানীয় একটি পাহাড়ের নাম দিয়েছিল নাঞাটং। নাঞা অর্থ দেবতা বা ভূত আর টং অর্থ হলো পাহাড়। মার্মাদের বিশ্বাস ছিল যে - ওই পাহাড়ে দেবতা বা ভূত থাকে। আর এর পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া খালের নাম দিয়েছিল নাঞাস্চং। মার্মা ভাষায় স্চং শব্দের অর্থ হলো খাল। এই কারণে এই খালের নাম হয়েছিল নাঞাস্চং বা দেবতার বা ভূতের খাল।
অনেকে মনে করেন যে, নাঞাটং বা নাঞাস্চং থেকে নাইক্ষং শব্দটির উৎপত্তি হয়েছিল আর এর সঙ্গে ছড়ি যুক্ত হয়ে নাম হয় নাইক্ষংছড়ি।

একসময় এই অঞ্চল আরাকান অঞ্চলের অধীনস্থ ছিল।
নাইক্ষংছড়ি উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে গেছে বাঁকখালী নদী।
নাইক্ষংছড়ি উপজেলায় যোগাযোগের প্রধান প্রধান সড়কগুলো হল বান্দরবান - লামা - আলীকদম - নাইক্ষংছড়ি সড়ক এবং বান্দরবান - সাতকানিয়া - চকরিয়া - রামু - নাইক্ষংছড়ি সড়ক। প্রধান যোগাযোগ মাধ্যম মাইক্রোবাস।

১৯২৩ সালে নাইক্ষংছড়ি থানা গঠিত হয়
এবং
১৯৮৩ সালে এই থানাকে উপজেলায় রূপান্তরিত করা হয়।
নাইক্ষংছড়ি উপজেলার
ইউনিয়নসমূহ হ'ল -
নাইক্ষংছড়ি সদর, বাইশারী, দোছড়ি, ঘুমধুম,
সোনাইছড়ি।
নাইক্ষংছড়ি উপজেলার আয়তন ৪৬৩.৬১ বর্গকিমি।
জনসংখ্যা ২০১১ সালের হিসাব অনুযায়ী -
৬১,৭৮৮ জন।

-লিয়াকত হোসেন খোকন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ