মঠ ও বাজার থেকে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া



মঠবাড়িয়া বাংলাদেশের পিরোজপুর জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।

জানা যায়, অনেক দিন পূর্বে এখানে একটি প্রাচীন মঠ ছিল - এই মঠ থেকেই এখানে একটি বাজার গড়ে ওঠে।
মঠ ও বাজার মিলে পরবর্তীতে এই জায়গার নাম হয় মঠবাড়িয়া।
মঠবাড়িয়া উপজেলার উত্তরে পিরোজপুর সদর উপজেলা ; পূর্বে কাঁঠালিয়া এবং বামনা উপজেলা ; দক্ষিণে

পাথরঘাটা উপজেলা এবং পশ্চিমে শরণখোলা উপজেলা।
মঠবাড়িয়া উপজেলার আয়তন ৩৪৪.২৪ বর্গকিমি।
মঠবাড়িয়া উপজেলার জনসংখ্যা মোট
২০১১ সালের হিসাব অনুযায়ী -
২,৬২,৮৪১ জন।
মঠবাড়িয়ায় থানা স্থাপিত হয় ১৯০৪ সালে।
মঠবাড়িয়ার উল্লেখযোগ্য স্থান হ'ল -
তুষখালী ;
ধানীসাফা ; মিরুখালী ; দাউদখালী ; টিকিকাটা ; বেতমোর রাজপাড়া ; আমড়াগাছিয়া ; শাপলেজা ; হাতখালী, গুলিশাখালী ; বড় মাছুয়া, দুর্গাপুর, টিকিকাটা, কুমিরামারা, ছাতা সাউলা, দেবীপুর, জানখালী।
মঠবাড়িয়ার দর্শনীয় স্থান হ'ল -
খান সাহেবের বাড়ী ; দক্ষিণ সোনাখালী ওয়াহেদ দরবেশের মাজার ; বুড়ি নদী, শাপলেজা খাল, সাংগ্রাইল খাল, পোনা নদী, সাফা জামে মসজিদ,
মানিকখালী ফরাজী হুজুরের মাজার ; শতবর্ষী মমিন মসজিদ ; কে, এম, লতিফ ইনস্টিটিউশন ; কচা নদীর পাড় ; শাপলেজা কুঠিবাড়ী ; নলী ডিম চন্দ্র বিদ্যালয় ; মঠবাড়িয়া হরি মন্দির।
সবুজ শ্যামল রূপ মঠবাড়িয়াকে করেছে আরও অপরূপ।
সে রূপে মুগ্ধ হয়ে পড়ে এ পথে আসা দর্শনার্থীরা।
তাই মঠবাড়িয়ায় গড়ে উঠতে পারে পর্যটন কেন্দ্র।
রাজধানী ঢাকা থেকে মঠবাড়িয়া উপজেলার দূরত্ব সড়ক পথে ২০০ কিলোমিটার ও জেলা সদর পিরোজপুর থেকে ৪৫ কিলোমিটার।



মঠবাড়িয়ার উল্ল্যেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হ'ল - মঠবাড়িয়া সরকারি ডিগ্রি কলেজ ; মহিউদ্দিন মহিলা কলেজ ; কে, এম, লতিফ ইনস্টিটিউশন, বড় মাছুয়া ইউনাইটেড হাইস্কুল, নলী ভিম চন্দ্র বিদ্যালয়।
মঠবাড়িয়ার পত্র -পত্রিকা হ'ল - মঠবাড়িয়া সমাচার।

একসময় মঠবাড়িয়ায় বিভিন্ন ধরনের মেলাটেলা হতো, কিন্তু তা আজ হারিয়ে যেতে বসেছে।
পহেলা বৈশাখে এখানে মেলা হলেও তা অতীতের মতো জাঁকজমকপূর্ণ নয়।
চিরতরে হারিয়ে গেছে মঠবাড়িয়ার সনাতন বাহন পাল্কি।
অতীত স্মৃতি -
তুষখালীতে খাজনা বৃদ্ধির প্রতিবাদে ১৮৩০ সাল থেকে ১৮৭০ সাল পর্যন্ত ইজারাদারদের বিরুদ্ধে কৃষক বিদ্রোহ সংগঠিত হয়েছিল।

১৯৭১ সালের মে মাসে ঝাটিপুনিয়া নামক স্থানে রাজাকার বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধ হয়।
মুক্তিযুদ্ধে নিহত মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে
বধ্যভূমি রয়েছে এখানে।

এ অঞ্চলটি উপকূলীয় ও নদীবহুল হওয়ার কারণে মঠবাড়িয়ায় যাওয়ার জন্য নৌপথ সবচেয়ে সুবিধাজনক।
তবে সড়ক পথেও মঠবাড়িয়া যাওয়া যাবে।


লিয়াকত হোসেন খোকন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ